খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রপতি করার দাবি জানালেন পিনাকী!

বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি কে হবেন—রাজনীতির সর্বশেষ আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু এই প্রশ্ন। এই প্রেক্ষাপটেই আলোচনার ঝড় তুলেছেন নির্বাসিত চিকিৎসক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক পিনাকি ভট্টাচার্য।
এক বিস্তৃত বক্তব্যে তিনি বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান এবং রাষ্ট্রপতি পদে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নাম প্রস্তাব করেন। পিনাকি বলেন, “আর মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী হাসিনার দেশত্যাগের এক বছর পূর্ণ হবে।
পাশাপাশি, রাজনৈতিক কর্মী আবু সাঈদের মৃত্যুর বার্ষিকীও চলে আসবে। এরপর একে একে শহীদদের কাফেলা স্মরণে আসবে—ওয়াসিম, মুগ্ধ, ইয়ামীন, আনাসসহ আরও অনেকে।” তাঁর দাবি, “যদিও হাসিনা ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন, কিন্তু তাঁর শাসনের ফ্যাসিবাদী ছায়া এখনো রয়ে গেছে।
তা পুরোপুরি দূর করতে হলে একজন নিরপেক্ষ ও মর্যাদাসম্পন্ন রাষ্ট্রপতির প্রয়োজন।” আরও পড়ুনঃ জাতীয় সমাবেশ যে ৭ দফা দাবি নিয়ে সমাবেশে নামবে জামায়াত ইসলামী তিনি আরও অভিযোগ করেন, বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন অতীত জীবনে একজন সাধারণ আইনজীবী ও রাজনৈতিক আনুগত্যের কারণে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারী ছিলেন, যিনি এস আলম গ্রুপের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন।
তাঁর মতে, “এমন একজন ব্যক্তির পক্ষে দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদে থাকা সম্মানজনক বা গ্রহণযোগ্য নয়।” পিনাকির ভাষ্য, “এই রাষ্ট্রপতির অধীনে আয়োজিত যেকোনো নির্বাচন হবে কেবলই এক প্রহসন।” এই পটভূমিতেই তিনি তাঁর প্রস্তাব তুলে ধরেন—“বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে সম্মানিত, ত্যাগী ও জাতীয় ঐক্যের প্রতীক বেগম খালেদা জিয়াকে করা হোক পরবর্তী রাষ্ট্রপতি।”
আরও পড়ুনঃ সচিবালয় অভিমুখে ইশরাক সমর্থকদের লংমার্চ কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা পিনাকি আরও বলেন, “নোবেল বিজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস এবং বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই নতুন বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হতে পারে। তাঁদের অভিভাবকত্বে নির্বাচন হবে নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর। তখন রাষ্ট্রীয় শক্তি প্রয়োগের প্রয়োজনই পড়বে না—না পুলিশ, না সেনাবাহিনী।