ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ, চার হাজার মানুষের কষ্ট লাঘব

ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ, চার হাজার মানুষের কষ্ট লাঘব

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের সোনামুখী এলাকায় প্রবল বর্ষণ ও নদীর পানি বৃদ্ধিতে যাতায়াত সংকটে পড়েন কয়েকটি গ্রামের মানুষ। এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা স্বেচ্ছাশ্রমে একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াতের কষ্ট লাঘব করেছেন।

 গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজানের পানির চাপে জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার সোনামুখী, উলিয়া, ধর্মকুড়া, মশামারি ও রামভদ্রা এলাকার দ্রুত পানি বৃদ্ধি পেতে দেখা যায়। ফলে ওই এলাকার প্রায় ৪ হাজার মানুষের চলাচলে মারাত্মক সমস্যা দেখা দেয়।

আরও পড়ুনঃ ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে নবম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ এ পরিস্থিতিতে সোমবার (৩০ জুন) বিকেলে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের স্থানীয় নেতাকর্মীরা স্বেচ্ছাশ্রমে একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেন। সাঁকো নির্মাণে নেতৃত্ব দেওয়া ইসলামপুর উপজেলা শিবিরের সভাপতি আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়ানই শিবিরের শিক্ষা।

বাঁধ ভেঙে যাওয়ার কারণে স্থানীয়দের চলাফেরা প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তাই আমরা সংগঠনের সিদ্ধান্তে দ্রুত একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেছি, যাতে সাধারণ মানুষ একটু স্বস্তিতে চলাচল করতে পারেন।’ আরও পড়ুনঃ সালিশ বৈঠকে মারামারি, আতঙ্কিত হয়ে বিচারকের মৃত্যু স্থানীয় মশামারি গ্রামের বাসিন্দা হারুন অর রশিদ বলেন, ‘বাঁধ ভেঙে যাওয়ার পর ছয়টি গ্রামের মানুষ মারাত্মক কষ্টে ছিল।

 স্কুল, কলেজ, হাট-বাজার—সব কিছুর যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছিল। সাঁকোটা হওয়ায় অন্তত হাঁটাচলার উপায় হয়েছে, আমরা খুব কৃতজ্ঞ।’ সাঁকো নির্মাণকালে উপস্থিত ছিলেন চিনাডুলী ফাজিল মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা ইবরাহিম খলিল। তিনি বলেন, ‘শিবিরের ছেলেরা মানুষের সেবায় এগিয়ে এসেছে, এটা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এমন উদ্যোগ সমাজে আরও বেশি বেশি করা উচিত।’