পি আর পদ্ধতিতে নিবার্চন হলে আওয়ামী লীগ এর এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা হবে :- নূর হাসান আকাশ

পি আর পদ্ধতিতে নিবার্চন হলে আওয়ামী লীগ এর এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা হবে :- নূর হাসান আকাশ

নির্বাচনের সময়সীমা সম্পর্কে বিতর্ক করা হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারের গঠন এবং এর পরে কিছু ব্যক্তির 'ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার ইচ্ছা' এবং 'নির্বাচনের গুরুত্ব কমে যাবে এবং এই সরকারের মেয়াদকালে সুবিধা নেয়ার চেতনা' দাবি করে। এই দাবির পরে কিছু দল সংস্কারের পর নির্বাচনের আওয়াজ তুলে। প্রায় ১২ কোটি ভোটার ভোট দেয়ার জন্য উদ্বেগিত। তবে, সরকার গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে হঠাৎ প্রপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) নির্বাচন পদ্ধতি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।

যদিও ৯১-এর পর থেকে বিএনপির অনুকম্পায় সংসদে জামায়াতের সামান্য জনপ্রতিনিধিত্ব ছাড়া যাদের তেমন কোনো প্রতিনিধিত্ব ছিল না; তারা হঠাৎ করে পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের দাবি তুলছেন এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সে দাবি অধিক গুরুত্ব দিয়ে দিনের পর দিন বৈঠক চালিয়ে যাচ্ছে। এই নেপথ্যের রহস্য কি সেটা উল্লেখ করা হয়েছে?পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের নামে তারা কি ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়নের মাধ্যমে সংসদে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে চাচ্ছেন? নাকি জনসমর্থন না থাকায় সারা দেশের প্রাপ্ত ভোটে নিজেদের সংসদে যাওয়া নিশ্চিত করতে চাচ্ছেন? ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার পদে নির্বাচন করে বিজয়ী হওয়ার মতো জনসমর্থন নেই এমন নেতারা পিআর পদ্ধতির নির্বাচনে এমপি হয়ে সংসদে গিয়ে সুবিধা পেলেও জনগণের স্বার্থ কতটুকু রক্ষা হবে?

শেখ হাসিনা পালানো এবং ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকে হিন্দুত্ববাদী ভারত একের পর এক বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছে। প্রতিটি চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর এখন আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিত্ব আগামী সংসদে রাখার নীলনকশা করছে।আওয়ামী লীগ পালালেও তাদের প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ ভোটার সারা দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। 

আগামী নির্বাচনে ওই ভোটাররা আওয়ামী লীগ এবং কৌশলগতভাবে তাদের মনোনীত প্রার্থীদের ভোট দেবেন। এতে করে ‘সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব’ পদ্ধতির নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা কমপক্ষে শতাধিক আসনে বিজয়ী হয়ে সংসদে যাবে।আবার, যখন বিএনপি সর্বত্র জনপ্রিয় দল হতে পারে, তখন পার্টিটির ভোটকে ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশের ভোটারের সংখ্যা হিসাবে বিবেচনা করা হয়। যখন কোনো জাতীয় জোটে ভোট দেওয়া হতে পারে, তখন এই সংখ্যা কিছুটা বাড়তে পারে। এতে ফলে, আওয়ামী লীগকে আগামী নির্বাচনে সংসদে নিয়ে যেতে পারে 'সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব' উপস্থাপনে।

এদেশে পিআর পদ্ধতির নির্বাচন হবে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে পুর্নবাসনের নির্বাচন। জুলাই-আগস্টের ঐতিহাসিন গণঅভ্যুত্থানের অর্জনকে নস্যাৎ করতেই নির্বাচনী কাঠামোতে নতুন আবিষ্কার পিআর পদ্ধতির নির্বাচন। ভিনদেশীয় আবিষ্কার পিআর পদ্ধতির নির্বাচন জাতির ওপর চাপিয়ে দেয়া শুভ লক্ষণ নয়। এর পেছনে অনেক কিছু লুকিয়ে রয়েছে। তিনি বলেন, ভারত এবং ফ্যাসিস্ট হাসিনার প্রেসক্রিপশনে কোনো গোষ্ঠী বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসুক তা’ দেশবাসী চায় না।