হজের খুতবায় কী বললেন ড. সালেহ ইবনে আব্দুল্লাহ

হজের খুতবায় কী বললেন ড. সালেহ ইবনে আব্দুল্লাহ

আজ পবিত্র হজ। ইহরাম পরিহিত লাখো হজযাত্রীর পদচারণায় মুখর হয়ে উঠে মিনা। মুখে উচ্চারিত হচ্ছে তাকবির ও তালবিয়ার ধ্বনি- ‘লাব্বাইক, আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান নি’মাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাক’।

এদিন হজের খুতবায় মুসলমানদের মধ্যে ঐক্য ও সংহতি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব শায়খ ড. সালেহ ইবনে আব্দুল্লাহ আল হুমাইদ। 

তিনি বলেন, শয়তান মুসলমানদের প্রকাশ্য শত্রু। এ জন্য মুসলমানদের উচিত পরস্পরের মধ্যে ঐক্য ও সংহতি বজায় রাখা। মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব বলেন, ইমানদারদের কর্তব্য হচ্ছে মহান আল্লাহ তায়ালাকে ভয় করা এবং তাকওয়া অবলম্বন করা। তাকওয়া হচ্ছে ইমানদারদের বৈশিষ্ট্য।

নেক আমল পাপসমূহকে মুছে দেয়। এ জন্য আমাদের কর্তব্য হচ্ছে যত বেশি সম্ভব নেক আমল করার চেষ্টা করা। মহান আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, আল্লাহর ইবাদত এমনভাবে করুন, আল্লাহর ইবাদত এমনভাবে করুন, যেন তাঁকে দেখছেন আপনি। তিনি তার বক্তব্যে মা-বাবার সঙ্গে সদ্ব্যবহার, নম্র আচরণ, প্রতিশ্রুতি পূরণ ও লজ্জাশীলতার গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, লজ্জাশীলতা বা হায়া হচ্ছে ইমানের একটি শাখা।

পবিত্র হজের সময় বেশি বেশি মহান আল্লাহর জিকির, দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ প্রার্থনা করা এবং পরস্পরকে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে ড. সালেহ ইবনে আব্দুল্লাহ বলেন, আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, নেক কাজের ক্ষেত্রে একে অপরকে সহযোগিতা করো এবং মন্দ কাজে বাধা দাও। মসজিদুল হারামের ইমাম বলেন, সৌদি আরবে আজ ৯ জিলহজ। ১৪৪৬ হিজরির পবিত্র আরাফা বা হজের দিন আজ। আজ হজ পালনকারীরা ঐতিহাসিক আরাফর ময়দানে সমবেত হয়েছেন।

এদিন ঐতিহ্য অনুযায়ী স্থানীয় সময় বেলা সোয়া ১২টার দিকে মসজিদে নামিরাহ থেকে হজের খুতবা দেয়া শুরু করা হয়। সৌদি আরব সরকারের উদ্যোগে খুতবাটি মূল আরবিসহ বাংলা, ইংরেজি, চাইনিজ, রুশ, তুর্কি, ফরাসি, তামিল, পশতুসহ বিশ্বের প্রায় ৩৫টি ভাষায় অনুবাদ করে সম্প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। হজের রোকন ‘উকুফে আরাফাহ’: পবিত্র হজের অন্যতম রোকন বা ফরজ হচ্ছে ‘উকুফে আরাফাহ’ বা আরাফার ময়দানে অবস্থান করা। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘আল-হাজ্জু আল-আরাফাহ’, অর্থাৎ, আরাফার ময়দানে উপস্থিত হওয়াই হজ।

 এদিন জোহরের সময় থেকে সূর্যাস্তের কিছুক্ষণ পর পর্যন্ত আরাফায় অবস্থান করা ওয়াজিব। কেউ যদি সূর্যাস্তের আগে আগে আরাফার সীমানার বাইরে চলে যায়, তাহলে সূর্যাস্তের আগে ফের আরাফার মাঠে ফিরতে হবে। তা না হলে দম ওয়াজিব হবে। আবার যদি কেউ জোহর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ে আরাফার মাঠে পৌঁছাতে না পারেন, তাহলে এদিন রাতের মধ্যে সুবহে সাদিক পর্যন্ত কিছুক্ষণের জন্য হলেও তাকে আরাফায় অবস্থান করতে হবে। ৯ জিলহজ জোহরের পর থেকে আগত রাতের সুবহে সাদিক পর্যন্ত কিছুক্ষণের জন্য হলেও আরাফায় অবস্থান করতে না পারলে হজ বাতিল হয়।