ক্ষয়ক্ষতি যুদ্ধের অংশ, বিমান ধ্বংসের ব্যাপারে মন্তব্য করতে চাই না: ভারতীয় বিমানবাহিনী

পাকিস্তানে বিশেষ অভিযানের সময় ভারতের একাধিক যুদ্ধবিমান ধ্বংসের দাবি করে ইসলামাবাদ। এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নে ভারতীয় বিমানবাহিনী জানায় এ বিষয়ে তারা কোনো মন্তব্য করতে চায় না।
এ ছাড়া বাহিনীটি বলেছে, ‘ক্ষয়ক্ষতি যুদ্ধের অংশ। তবে পাকিস্তানের সঙ্গে লড়াইয়ের পর ভারতের সব বৈমানিক ঘরে ফিরেছেন।’ রোববার (১১ মে) ভারতীয় বিমানবাহিনীর কর্মকর্তা এয়ার মার্শাল একে ভারতী এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। বিমান ধ্বংস হওয়ার ব্যাপারে মন্তব্য না করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো যুদ্ধ পরিস্থিতিতে আছি। এ ব্যাপারে তথ্য জানালে শত্রুদের জন্য সুবিধা হবে।
আমরা আমাদের লক্ষ্য অর্জন করেছি।’ গত বুধবার মধ্যরাতে (৭ মে) পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে বিমান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় ভারত। পাকিস্তান সঙ্গে সঙ্গে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ইসলামাবাদের দাবি, তিনটি ফ্রান্সের তৈরি রাফয়েলসহ ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে তারা। এরপর এ দাবির পক্ষে বিপক্ষে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি ভারতের পক্ষ থেকে। তবে পাকিস্তানের দাবির পরপরই বুধবার ভারতের চারটি সরকারি সূত্রেরে দেয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, অঞ্চলটিতে তিনটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে।
পরদিন বৃহস্পতিবার রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের তৈরি যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে ৭ মে ভারতের অন্তত দুটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান। এই দুই বিমানের অন্তত একটি রাফায়েল ছিল বলে উল্লেখ করে সংবাদ সংস্থাটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের দুজন কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, চীনের নির্মিত জে-১০ যুদ্ধবিমান দিয়ে আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে দুটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে পাকিস্তানের পাইলটরা।
এরপর থেকেই চীনের তৈরি পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান এবং ফ্রান্সের তৈরি ভারতের রাফায়েল ফাইটার জেটের মধ্যে লড়াই বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশের সামরিক বাহিনীর জন্য নিবিড়ভাবে খতিয়ে দেখার বিষয় হয়ে উঠেছে।
এ ঘটনাকে চীনের অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান প্রযুক্তির জন্য বড় ধরনের মাইলফলক হিসেবেই বিবেচনা করছেন বিশ্লেষকরা।