গৃহবধূকে কুপ্রস্তাব, অতপর...

পটুয়াখালীর দুমকিতে কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে এক গৃহবধূ ও তার স্বামীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে আঙ্গারিয়া ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় রোববার (২২মার্চ) রাতে গৃহবধূ বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত জিয়াউর রহমান আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের রূপাসিয়া গ্রামের ৫নং ওয়ার্ডের শাহ জাহান হাওলাদারের ছেলে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার সময় চুরির অপবাদ দিয়ে আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের রূপাসিয়া গ্রামের এক গৃহবধূ ও তার স্বামীকে মারধর করেন ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জিয়াউর রহমান, তার বউ নুপুর আক্তার, ছেলে সিয়াম ও মেয়ে নাদিয়া।
তার আগে মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে দুই হাজার পাঁচশত টাকা জরিমানা করেন সে। সেই টাকা আদায় করেন গৃহবধূর পরিবার থেকে। একটা বাটন মোবাইল ফোনের দাম দুই হাজার পাঁচশ’ টাকা হয় না। জরিমানা এক হাজার টাকা বেশি নেওয়া হয়েছে এমন কথা ভুক্তভোগী পরিবার বললে জিয়াউর রহমান ও তার পরিবার ক্ষিপ্ত হয়ে মারধর করেন দম্পতিকে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আঙ্গারিয়া ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জিয়াউর রহমানের একটি অডিও কল রেকর্ড ভাইরাল হয়েছে। যেখানে চুরির অপবাদ দেওয়া গৃহবধূকে কল করে কুপ্রস্তাব দেন জিয়াউর রহমান। ভুক্তভোগী গৃহবধূ বলেন, বেশকিছু দিন আগে জিয়াউর রহমান ফোন দিয়ে কুপ্রস্তাব দেন। তার সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বর্তমানে একটি মোবাইল চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমাকে ও স্বামীকে মারধর করেন সে।
ভুক্তভোগীর স্বামী জানান, এই জিয়াউর রহমান খারাপ চরিত্রের লোক। বেশকিছু দিন আগে তার খারাপ চরিত্রের কারণে অন্য একটা সংসার ভাঙে। এছাড়া দলীয় প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে। তিনি আরও বলেন, মিথ্যা চুরির অপবাদ দিয়ে আমাদেরকে মারধর করা হয়েছে। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি জানাই। অভিযুক্ত আঙ্গারিয়া ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জিয়াউর রহমান জানান, চুরির কারণেই তাদের মারধর করা হয়েছে। কুপ্রস্তাবের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওটা তো প্রায় ছয়মাস আগের কথা।
ওরা খারাপ বলেই এখন সেই রেকর্ড ভাইরাল করছে। পটুয়াখালী জেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মশিউর রহমান মিলন বলেন, ব্যক্তির কারণে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না। তাই এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জাকির হোসেন জানান, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তবে গৃহবধূকে কুপ্রস্তাবের বিষয়ে কিছু জানা নেই। ভুক্তভোগী পরিবার মামলা দিলে তা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।