সন্ত্রাসী মীর সামিরকে ছুরিকাঘাতে হত্যা

সন্ত্রাসী মীর সামিরকে ছুরিকাঘাতে হত্যা

যশোরে দুর্বৃত্তদের ছোড়া গুলি ও ছুরিকাঘাতে শীর্ষ সন্ত্রাসী মীর সামির সাকিব সাদী (৩৫) নিহত হয়েছেন। সোমবার (১৮ মার্চ) দিবাগত রাত ১২টার দিকে শহরের মুড়িব সড়ক জয়ন্তী সোসাইটির পেছনে তার বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।

 নিহত সাদী ওই এলাকার মীর শওকত আলির ছেলে। নিহতের চাচাতো ভাই রাকিব জানান, রাত ১২টার দিকে তিনি ও সাদী বাড়ি ফেরেন। বাড়ির উঠানে মোটরসাইকেল ঢুকানোর সময় পেছন থেকে সাদীকে চাকু দিয়ে আঘাত করে। এরপর তাকে গুলি করে। এ সময় তিনি হামলাকারী ট্যাটু সুমন, মেহেদীসহ তাদের সহযোগীদের লক্ষ্য করে ইট নিক্ষেপ করলে তারা আরও ৫ থেকে ৬ রাউন্ড গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়।

তাদের ছোড়া গুলিতে সাদী আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি আরও জানান, নিহত সাদী রেলবাজারের ইজারাদার। হামলাকারীরা বাজার এলাকায় চাঁদাবাজি করতো। তাদের প্রশ্রয় না দেয়ায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূর-ই-আলম সিদ্দিকী জানান, খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং জড়িতদের ধরতে পুলিশের একাধিক টিম অভিযান শুরু করেছে।

হত্যাকাণ্ডের কারণ জানতে পুলিশ তদন্ত করছে। তিনি আরও জানান, নিহত সাদী ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত বলে যাদের নাম আসছে উভয় পক্ষই সন্ত্রাসী। সবার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সাদী যশোরের শীর্ষ সন্ত্রাসী ম্যানসেলের প্রধান সহযোগী ও ম্যানেজার। সাদীকে যারা হত্যা করেছে তারাও ম্যানসেলের সহযোগী। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা ও শীর্ষ সন্ত্রাসী ম্যানসেলসহ তার বাহিনীর সদস্যরা গা ঢাকা দেয়।

 সম্প্রতি সাদীসহ তাদের কেউ কেউ এলাকায় ফিরতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে সাদী খুন হন। স্থানীয়রা জানান, ২০১৩ সালের ৯ ডিসেম্বর যশোর শহরের সিভিলকোর্ট মোড়ে জেলা ছাত্রদলের তৎকালীন সহ-সভাপতি কবির হোসেন পলাশকে খুন করে মোটরসাইকেলযোগে পালানোর সময় শহরের পালবাড়ি ভাস্কর্য মোড়ে সড়ক দুর্ঘটনার আহত হন সাদী। দুর্ঘটনায় তার এক পা কেটে ফেলতে হয়। এক পা হারিয়েও ম্যানসেলের প্রধান সহযোগী পরিচয়ে সাদী এলাকায় সন্ত্রাসী তৎপরতা চালিয়েছেন।