এবার জয়কে সাময়িক বহিষ্কার

বিশ্ববিদ্যালয় অনুপস্থিত থাকার অভিযোগে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. আওয়াল কবির জয়কে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শনিবার (১৫ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিস সূত্র বিষয়টি জানা যায়।
জয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। ২০০৯ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের তৎকালীন সেক্রেটারি শরিফুজ্জামান নোমানী হত্যা মামলার আসামি ছিলেন তিনি।
জয়ের বহিষ্কার নিয়ে বুধবার রেজিস্ট্রার অফিস থেকে একটি অফিস আদেশ জারি করা হয়। অফিস আদেশে বলা হয়, ‘জনাব ড. মো. আওয়াল কবির, সহকারী অধ্যাপক, সমাজকর্ম বিভাগ, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত গত ৭/১১/২০২৪ খ্রি. হতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত, বিভাগীয় আদেশ অমান্যকরণ এবং মিথ্যা তথ্য প্রদান করে ভার্চুয়ালী ক্লাসের অনুমতি গ্রহণের কারণে অসংগত আচরণ, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার আইন সংগত আদেশ অমান্যকরণ, কর্তব্য অবহেলা প্রদর্শন জনিত কার্য সংগঠন এবং পলায়নের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। তার এহেন আচরণ সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ৩(খ)(গ) অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সে প্রেক্ষিতে, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ১২(১) অনুযায়ী অভিযুক্তকে চাকুরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা সমীচীন মর্মে বিবেচিত হওয়ায় এতদ্দ্বারা কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে জনাব ড. মো. আওয়াল কবিরকে চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
৫ আগস্ট স্বৈরাচারী হাসিনার পতনের পর থেকে জয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে। এ সময় তিনি তৎকালীন প্রশাসনের কাছে অনুমতি নিয়ে তিন মাসের জন্য অনলাইনে ক্লাস নেন। নতুন প্রশাসন আসার পরে অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার অনুমতি চাইলে সেটা দেওয়া হয়নি। গত বছর ৭ নভেম্বর থেকে তিনি লিখিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ছিলেন।
তাকে কর্মস্থলে আসার জন্য প্রশাসন থেকে বলা হলেও তিনি প্রশাসনিক আদেশ অমান্য করে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ছিলেন।