সরকার থেকে পদত্যাগ করে সোশ্যালে নাহিদের বার্তা

অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন মো. নাহিদ ইসলাম। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পদত্যাগ করেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে আজ বিকেলে নিজের ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট করেন নাহিদ। যেখানে ফটোগ্রাফার মেহেদী হাসানের তোলা একটি ছবি পোস্ট করা হয়েছে। যে ছবি জাতীয় পতাকা হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় নাহিদ ইসলামকে। ছবির ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, ‘জনতাই বৈধ’।
এর আগে পদত্যাগের বিষয়ে আরেক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ, যোদ্ধা ও আপামর জনগণের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের দায়িত্ব নিয়ে আগস্টে সরকারে যোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই স্বপ্ন কেবল সরকারের ভেতরে থেকে পূরণ করা সম্ভব নয়। তাই আজ আমি সরকার থেকে বিদায় নিচ্ছি - একটি নতুন রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি নিয়ে। লড়াই শেষ হয়নি, শুধু নতুন রূপে শুরু হচ্ছে।’ তিনি জানান, বর্তমানে দেশের যে পরিস্থিতি সেক্ষেত্রে আমার রাজপথে থাকা প্রয়োজন। ছাত্র জনতার কাতারে থাকা আমার বেশি প্রয়োজন। নতুন দলে অংশ নিতেই এই সিদ্ধান্ত। এদিকে উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করার পরেই মঙ্গলবার দুপুর ২ টা ১২ মিনিটে নাহিদ ইসলামকে ট্যাগ করে দেয়া ফেসবুকে পোস্টে সারজিস বলেন, ‘এ তুফান ভারী, দিতে হবে পাড়ি, নিতে হবে তরী পার। রাজপথে স্বাগতম সহযোদ্ধা।’ আরেক পোস্টে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া লিখেন, ‘সহকর্মী, সহযোদ্ধার সঙ্গে সরকারে শেষ দিন।
আগামীর যাত্রা শুভ হোক।’ জানা গেছে, আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি নতুন একটি রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ হওয়ার কথা রয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করছে। এই দলের নেতৃত্ব দেবেন নাহিদ ইসলাম। আর এ কারণে তিনি পদত্যাগ করেছেন। এর আগে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অনির্ধারিত বৈঠকে বসেন। আজ দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় এ বৈঠক শুরু হয়। গেল রোববার সন্ধ্যায় খবর ছড়িয়ে পড়ে নতুন দলে যোগ দেয়ার জন্য উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন নাহিদ ইসলাম। পরে সে সময় তিনি বলেন, ‘এখনো পদত্যাগ করিনি। যে খবর ছড়িয়েছে, সেটা গুজব।’ উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোটাবিরোধী আন্দোলনের সময় মুখ্য সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করে নাহিদ ইসলাম। পরে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এরপর ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। সেই সরকারে উপদেষ্টা হন নাহিদ ইসলাম।