একটি দল সুযোগ পেলেই বিএনপিকে পেছন থেকে ছুরিকাঘাত করার চেষ্টা করে: রিজভী

একটি দল সুযোগ পেলেই বিএনপিকে পেছন থেকে ছুরিকাঘাত করার চেষ্টা করে: রিজভী

একটি দল যখনই সুযোগ পেয়েছে বিএনপিকে পেছন থেকে ছুরিকাঘাত করার চেষ্টা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী রিকশা ভ্যান অটোচালক দলের উদ্যোগে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কিংস পার্টি গঠন করেছেন-কেউ এমন কথা বলেন উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘স্বাধীনভাবে সংবাদপত্র পাঠ করা যদি গণতন্ত্রের অপরিহার্য শর্ত হয়ে থাকে তাহলে সেটির মহানায়ক জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমানের প্রতি সিপাহী এবং জনগণের সমর্থন ছিল। যিনি রাজনৈতিক দল গঠন করেছিলেন গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার জন্য। গণতন্ত্রের মহানায়ক ছিলেন জিয়াউর রহমান।

যারা একাত্তরের পরবর্তী সময়ে নিষিদ্ধ ছিলেন, তার উদারতার কারণে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু এই রাজনৈতিক দলটি যখনই সুযোগ পেয়েছে বিএনপিকে পেছন থেকে ছুরিকাঘাত করার চেষ্টা করেছে। এটা আমরা প্রতিনিয়ত দেখেছি।’তিনি বলেন, ‘জনতার মধ্য থেকে জুলাই আন্দোলনে যে শ্রমিকরা নেমেছেন, যারা একদিন রিকশা চালাতে না পারলে তাদের ছেলে-মেয়ে, স্ত্রী পরিবারের ভাত হবে না।

তাদের আত্মদানকে এত ছোট করে দেখছেন কেন? সেটার জন্য তো কর্তব্য ছিল বেশি। যে রিকশাচালক, ভ্যানচালক মারা গেছেন-সরকারের পক্ষ থেকে তাদের তালিকা করে কবে পুনর্বাসন করা যায়, সে ব্যাপারে আপনাদের কাউকে তো আসতে দেখলাম না। ক্ষমতার ভাগাভাগি, রাজনৈতিক দল বিএনপিকে নানা ধরনের অভিযোগের মধ্যে আক্রান্ত করা আমরা প্রতিনিয়ত দেখছি।’

ছাত্রশিবিরের করা মধুর ক্যান্টিনের সংবাদ সম্মেলন প্রসঙ্গে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীর ছাত্রসংগঠন ছাত্রশিবির বলে ছাত্রদলের মধ্যে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের প্রতিচ্ছবি দেখছি। কে কখন নিষিদ্ধ হয় আমরা জানি না। এখন ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ কিনা আমরা জানি না। ছাত্রশিবিরকেও আমরা নিষিদ্ধ হতে দেখেছি একসময়। আমরা এটাও জানি, ছাত্রশিবিরের এখনকার অনেক নেতা ছাত্রলীগের মধ্যে অবস্থান করে অনেক পদ-পদবিও পেয়েছেন। অনেকেই ছাত্রশিবিরকে বলে গুপ্ত ছাত্রলীগ। এর উত্তর তারা কি করে দেবেন? এগুলোর তো অনেক প্রমাণ, অনেক তালিকা এবং অনেক নাম আমাদের কাছে আছে। আর অবান্তর কথা কেন আপনারা বলছেন?

 কিসের জন্য এ সমস্ত কথা বলে আজকে গণতান্ত্রিক শক্তির মধ্যে এই বিভাজন তৈরি করছেন? আপনারা এই কারণে করছেন যে, নিজেরা কিছু করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করা করা যায় কি না। কিন্তু এটা হবে না।’তিনি বলেন, ‘সরকার প্রধান বললেন-ছাত্ররা দল করতেই পারে। হ্যাঁ আমরা যদি গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাস করি তাহলে করতে পারে। কিন্তু যাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে কথাগুলো বলা হচ্ছে, তাদের রক্তের ঋণ পরিশোধ করা উচিত।’ রিজভী বলেন, ‘এই দেশে যেমন ইসলামী সংস্কৃতি কালচার আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস, এটাকে যেমন মুছে দেয়া যাবে না। যেটার চেষ্টা শেখ হাসিনা বারবার করেছেন। ইসলামী সংস্কৃতি, ইসলামের প্রতি বিশ্বাস আল্লাহর ওপর বিশ্বাস-এটাতো জিয়াউর রহমান নিয়ে এসেছিলেন সংবিধানে। শেখ হাসিনা নানাভাবে চেষ্টা করেছেন এটা মুছে ফেলার।

আবার এটাও মনে রাখতে হবে আমাদের দেশের জাতীয় সংস্কৃতির নানা অঙ্গ আছে, নানা বৈচিত্র্য আছে-এটাকেও মুছে ফেলা যাবে না। কেন চট্টগ্রামে বসন্ত বরণ বন্ধ করা হয়েছে, কার নির্দেশে হয়েছে? কেন নাটক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে চট্টগ্রামে?’ এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু প্রমুখ।