গভীর রাত্রে নারীর ঘরে খেলেন মৎস্যজীবী দল নেতা,অতঃপর ভিডিও ভাইরাল

গভীর রাত্রে নারীর ঘরে  খেলেন মৎস্যজীবী দল নেতা,অতঃপর ভিডিও ভাইরাল

ভোলার চরফ্যাসন উপজেলায় গভীর রাতে নারীর ঘরে ঢুকে গণধোলাইয়ের শিকার হলেন শশীভূষণ থানা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি মিজান মুনসী।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) চরকলমী ইউনিয়নের বকসীবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গণধোলাইয়ের ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়লে উপজেলাজুড়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।

এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ বিএনপির নেতাকর্মীরা তাকে বহিষ্কারের দাবি জানান। ভুক্তভোগী নারী জানান, মিজান মুনসী তার বাড়িতে নানা অজুহাতে আসা-যাওয়া করতেন। বিভিন্ন সময় দিতেন অনৈতিক প্রস্তাব। শুক্রবার বিকেলে বাড়িতে এসে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোর করে মোবাইল ফোন নম্বর নেন। যাওয়ার সময় বলে যান রাত ১১টায় আসবেন। পরে গভীর রাতে বাড়ির পেছনের জানালা ধাক্কাধাক্কি শুরু করেন। আগুন লাগিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ঘরে প্রবেশ করেন তিনি।

আতঙ্কিত হয়ে তাকে ঘরে ঢুকতে দেন। তিনি অশোভন আচরণ করলে চোর এসেছে বলে চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। তারা মিজানকে আটক করে গণধোলাই দেন। খবর পেয়ে তার সাঙ্গপাঙ্গরা এসে তাকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনার পর চরফ্যাসন হাসপাতালে ভর্তি হন অভিযুক্ত মিজান মুনসী। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গণধোলাইয়ের ভিডিও ভাইরাল হলে মোবাইল ফোন বন্ধ রেখে হাসপাতাল থেকে আত্মগোপনে চলে যান তিনি।

এ কারণে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। চরকমলী ইউনিয়নের বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান বেপারী জানান, ‘মিজান মুনসীকে রাতে আটক করে মারধর করা হয়েছে শুনেছি। তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছি। তার ফোন বন্ধ। বাসায়ও তাকে পাওয়া যায়নি।’ উপজেলা মৎস্যজীবীদ ল সভাপতি মো. সোহাগ বলেছেন, এটা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। স্থানীয় আওয়ামী লীগের কিছু সমর্থক রাতর আধারে তার ওপর হামলা করেছে। শশীভূশষণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিক হাসান রাসেল জানান, বিষয়টি শুনেছি। ভুক্তভোগী নারী কোনো অভিযোগ করেননি। তিনি অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।