এক চাঁদাবাজ তাড়িয়ে আরেক চাঁদাবাজকে বসানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর বলেন, সংস্কারের পূর্বে কোন নির্বাচন দেওয়া হলে সে নির্বাচন ব্যর্থ হবে। ছাত্র জনতা ও আমরা জীবনের মায়া ত্যাগ করে রাস্তায় ঝাপিয়ে পড়েছিলাম। আমাদের রক্ত ও ত্যাগের উপরে ফ্যাসিস্ট বাংলাদেশ থেকে হটতে বাধ্য হলেও এখন আবার নব্য ফ্যাসিস্ট বাংলাদেশকে দখল করেছে। এক চাঁদাবাজ কে তাড়িয়ে আরেক চাঁদাবাজকে বসানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে ৫০৫টি আসনের প্রস্তাব করা হয়েছে। যার মধ্যে ১০৫ আসন আনুপাতিক হারে উচ্চকক্ষ, ৩০০ আসন নিম্ন কক্ষ ও ১০০ আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত বলা হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা কোটা বিরোধী আন্দোলন করেছিলাম কোন সংরক্ষিত থাকবে না।
তাই মহিলাদের জন্য সংসদে কোন সংরক্ষিত আসন চাই না। মহিলাদের জন্য আমরা সাধারণ নির্বাচন চাই। মহিলাদের সমান অধিকারের কথা বলে তাদের জন্য সংরক্ষিত আসন রাখা মানে তাদেরকে অপমান করা। শায়খে চরমোনাই বলেন, মহিলাদেরকে অযোগ্য মনে করে এটা করা হয়। মহিলাদেরকে অযোগ্য মনে করবেন না। তাদেরকে লড়তে দিন,সংরক্ষিত আসন আমরা চাই না। মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসন করার অর্থ তাদেরকে দুর্বল করা।
কোন মহিলা লড়াই করতে পারবে না এমন প্রস্তাব আমরা করলে প্রশ্ন করা যেত আমি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসন চাই না। আমি চাই সকলে সরাসরি ভোটে লড়াই করবে। আজ বুধবার রাজধানীর পুরানা পল্টনের একটি হোটেলে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশের নব নির্বাচিত কেন্দ্রীয় কমিটির শপথ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী জেনারেল আলহাজ কে এম বিল্লাল হোসেনের পরিচালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, শহিদুল ইসলাম কবির, মাওলানা ছিদ্দিকুর রহমান ও মুফতী মোস্তফা কামাল।