হাসিনাকে ভারত থেকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে যা বললো প্রসিকিউটর

হাসিনাকে ভারত থেকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে যা বললো প্রসিকিউটর

শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে জানতে চাইলে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ভারতের সঙ্গে অপরাধী বহিঃসমর্পণ যে চুক্তি আছে, সেই চুক্তির অধীনে অপরাধীদের দেশে ফেরানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রের নিতে হবে।

সরকারের কাছে আমরা তথ্য প্রেরণ করেছি, সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের কাছে কখন কীভাবে চাইবেন বা ইতিমধ্যে চেয়েছেন কিনা সেটা সরকার বলতে পারবেন। এটা আমাদের জানা নেই। গণহত্যা মামলার প্রধান আসামি পলাতক শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির নির্দেশনা দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন বিভাগ।

গতকাল ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর এডভোকেট মো. তাজুল ইসলাম নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির মাধ্যমে হাসিনাসহ পলাতক আসামিদের ফেরত আনতে চায় সরকার। তবে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারি হয়েছে কিনা এমন কোনো তথ্য প্রসিকিউশনের কাছে নেই। তিনি বলেন, রেড নোটিশ জারির তথ্য বাংলাদেশ পুলিশের একটি শাখা ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি) ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে পাওয়া যাবে।

 গত ১৩ই নভেম্বর চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয় থেকে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির বিষয়ে যে নির্ধারিত ফরম আছে তা পূরণ করে একটি চিঠির মাধ্যমে ফরওয়ার্ডিং করে পুলিশের এনসিবি সংস্থার কাছে পাঠিয়েছি। রেড নোটিশ জারির বাকি কাজ করার দায়িত্ব এনসিবি’র। সুতরাং ইন্টারপোলের কাছে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি হয়েছে কিনা, এটা বলার দায়িত্ব এনসিবি’র তথা পুলিশ মহাপরিদর্শকের অফিসের।

 তিনি বলেন, রেড নোটিশ জারির খবর আমরা ক্লিয়ারলি বলতে পারছি না যে, তাদের মাধ্যমে এটা জারি হয়েছে কিনা বা ইন্টার পোলের ওয়েব সাইটে এটা আছে কিনা। এ বিষয়ে জানতে হলে পুলিশ সদর দপ্তরের এনসিবি’র দায়িত্বে একজন এডিশনাল আইজিপি আছেন তার কাছে জানা যাবে। শেখ হাসিনার বিষয়ে তদন্ত জোরেশোরে চলছে এমনটি জানিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, সারা দেশে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন মামলা হয়েছে সেগুলোর তদন্ত চলমান থাকবে।

তবে আমাদের কাছে তার বিরুদ্ধে যত অভিযোগ আছে বিশেষ করে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার এবং গত ১৬ বছরে যত গুম ক্রসফায়ারের মতো যত মানবতাবিরোধী অপরাধ, পিলখানা ও হেফাজতে ইসলামের হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে অভিযোগ ট্রাইব্যুনালের কাছে এসেছে। সেগুলোর বিষয়ে তদন্ত চলমান আছে। আমরা বিশ্বাস করি শেখ হাসিনাসহ তার কেবিনেটের বিভিন্ন সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা চলমান রয়েছে, তাই প্রায়োরিটির ভিত্তিতে শেখ হাসিনার বিষয়ে তদন্ত খুব জোরেশোরে চলমান রয়েছে।

তিন মাসের মধ্যে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ হবে এমনটি জানিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের যে তদন্ত সংস্থা রয়েছে তারা সম্ভাব্য তিন মাসের ভেতর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সকল তদন্ত শেষ করতে পারবেন। এটা কোনো চূড়ান্ত কথা নয়, তারা (তদন্ত সংস্থা) আশা করছেন তিন মাসের মধ্যে শেষ করতে পারবেন। তদন্ত রিপোর্ট আমাদের হাতে এসে পৌঁছালে, তখন আমরা বলতে পারবো মূল বিচার প্রক্রিয়া কবে শুরু হবে। তিনি বলেন, রেড নোটিশ জারির তথ্য বাংলাদেশ পুলিশের একটি শাখা ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি) ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে পাওয়া যাবে।

গত ১৩ই নভেম্বর চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয় থেকে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির বিষয়ে যে নির্ধারিত ফরম আছে তা পূরণ করে একটি চিঠির মাধ্যমে ফরওয়ার্ডিং করে পুলিশের এনসিবি সংস্থার কাছে পাঠিয়েছি। রেড নোটিশ জারির বাকি কাজ করার দায়িত্ব এনসিবি’র। সুতরাং ইন্টারপোলের কাছে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি হয়েছে কিনা, এটা বলার দায়িত্ব এনসিবি’র তথা পুলিশ মহাপরিদর্শকের অফিসের।

তিনি বলেন, রেড নোটিশ জারির খবর আমরা ক্লিয়ারলি বলতে পারছি না যে, তাদের মাধ্যমে এটা জারি হয়েছে কিনা বা ইন্টার পোলের ওয়েব সাইটে এটা আছে কিনা। এ বিষয়ে জানতে হলে পুলিশ সদর দপ্তরের এনসিবি’র দায়িত্বে একজন এডিশনাল আইজিপি আছেন তার কাছে জানা যাবে। শেখ হাসিনার বিষয়ে তদন্ত জোরেশোরে চলছে এমনটি জানিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, সারা দেশে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন মামলা হয়েছে সেগুলোর তদন্ত চলমান থাকবে।

 তবে আমাদের কাছে তার বিরুদ্ধে যত অভিযোগ আছে বিশেষ করে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার এবং গত ১৬ বছরে যত গুম ক্রসফায়ারের মতো যত মানবতাবিরোধী অপরাধ, পিলখানা ও হেফাজতে ইসলামের হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে অভিযোগ ট্রাইব্যুনালের কাছে এসেছে। সেগুলোর বিষয়ে তদন্ত চলমান আছে। আমরা বিশ্বাস করি শেখ হাসিনাসহ তার কেবিনেটের বিভিন্ন সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা চলমান রয়েছে, তাই প্রায়োরিটির ভিত্তিতে শেখ হাসিনার বিষয়ে তদন্ত খুব জোরেশোরে চলমান রয়েছে।

তিন মাসের মধ্যে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ হবে এমনটি জানিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের যে তদন্ত সংস্থা রয়েছে তারা সম্ভাব্য তিন মাসের ভেতর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সকল তদন্ত শেষ করতে পারবেন। এটা কোনো চূড়ান্ত কথা নয়, তারা (তদন্ত সংস্থা) আশা করছেন তিন মাসের মধ্যে শেষ করতে পারবেন। তদন্ত রিপোর্ট আমাদের হাতে এসে পৌঁছালে, তখন আমরা বলতে পারবো মূল বিচার প্রক্রিয়া কবে শুরু হবে।