যে কারনে বঙ্গবন্ধুকে জাতির জনক বলা যাবেনা 

যে কারনে বঙ্গবন্ধুকে জাতির জনক বলা যাবেনা 

ঢাকা: বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা মনে করে আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধুকে আওয়ামী লীগ বিতর্কিত করেছে। এ দেশের, এ ভূখণ্ডের জন্য অনেক মানুষের অবদান আছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। 

বুধবার (১৬ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন। 

তাকে আপনারা ‘জাতির পিতা’ মনে করেন কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দল হিসেবে ফ্যাসিস্টভাবে ক্ষমতায় ছিল। মানুষের ভোটাধিকার হরণ ও গুম-খুন করে এবং গণহত্যা করে তারা ক্ষমতায় ছিল। কাজেই কারা তাকে জাতির পিতা বলল, তারা কোন দিবসকে জাতীয় দিবস ঘোষণা করল, নতুন বাংলাদেশে সেটার ধারাবাহিকতা থাকবে না। আমরা বাংলাদেশকে নতুনভাবে গঠন করতে চাচ্ছি। ফলে ইতিহাসের প্রতি আমাদের নতুন দৃষ্টিভঙ্গি আনতে হবে।

বর্তমান সরকার বঙ্গবন্ধুকে জাতির জনক মনে করে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই না।’

তাহলে আমাদের কোনো জাতির পিতা থাকবে না? প্রশ্নে তিনি বলেন, আমাদের এই ভূখণ্ডের লড়াইয়ের ইতিহাসে বহু মানুষের অবদান রয়েছে। আমাদের ইতিহাস কিন্তু কেবল ৫২-তেই শুরু হয়নি, আমাদের ব্রিটিশবিরোধী লড়াই আছে, ৪৭ ও ৭১-এর লড়াই আছে, ৯০ ও ২৪ আছে। আমাদের অনেক ফাউন্ডিং ফাদারস রয়েছেন। তাদের লড়াইয়ের ফলে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি।

৮ জাতীয় দিবস বাতিল প্রসঙ্গে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, যেসব জাতীয় দিবস বাতিল করা হচ্ছে, সেগুলো চাপিয়ে দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। ফ্যাসিস্ট আচরণ ছিল সেটা। সরকার মনে করেছে, সেগুলো অগুরুত্বপূর্ণ, তাই বাতিল করা হচ্ছে। একইসঙ্গে জুলাই অভ্যুত্থানের গুরুত্ব হিসেবে কোনো কোনো দিবস প্রতিষ্ঠিত করা হবে বলেও জানান তিনি।

বাতিল হওয়া দিবসগুলোর মধ্যে রয়েছে- ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ, শেখ মজিবুর রহমানের জন্ম দিবস ও জাতীয় শিশু দিবস (১৭ মার্চ), শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী (৫ আগস্ট), বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী (৮ আগস্ট), শেখ রাসেল দিবস (১৮ অক্টোবর), জাতীয় সংবিধান দিবস (৪ নভেম্বর), স্মার্ট বাংলাদেশ দিবস (১২ ডিসেম্বর), জাতীয় শোক দিবস (১৫ আগস্ট)।

১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু যে ভাষন দিছেন এবং তারই ফলে বাংলার মানুষের নতুন করে স্বাধীন ভাবে বাঁচার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন,এবং তা বাস্তবায়নও করা হয়েছিল
তাই বা কম কিছে । এই যে নেত্রীত্ব দিলেন বঙ্গবন্ধু এটাই বাঙ্গালী জাতির জন্য অনেক পাওয়া ।ইতিহাস পড়ে যতটুকো জেনেছি সে সময় বঙ্গবন্ধুর যে ভূমিকা ছিল তা কখনো ভুলবার নয় । আরেকটি কথা জাতির পিতা বলতেই যদি আমরা ধর্মে চলে যাই যেমন (খঃ) ছিলেন জাতির পিতা, এটা যেমন ঠিক হযরত ইব্রাহীন (খঃ) কে অস্মান করা হচ্ছে বা অনেকে এমনও বলেন ।


এটা আসলে আমাদের একটা ভুল ধারনা কেন বাংলাদেশের সকল ধর্ম মত নির্বিশেষে বাঙালী জাতি বলা হয় । সর্ম্মান করে কাউকে একটি উপাধি দিলে তাতে মনে হয় কোন ক্ষতি হয়না । যেমন আমাদের দেশে বিভিন্ন ধর্ম বিভিন্ন জাতের লোক আছে আর সকলের একটাই পরিচয় আর তা হলো বাঙ্গালী জাতি । তাই বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা বললেও কোন সমস্যা হবার কথা নয় । আর যদি বঙ্গবন্ধুকে জাতির
পিতা বলা অন্যায় হয় তাহলে বাঙ্গালী জাতিকেও বাঙ্গালী জাতি বলা অন্যায় হবে । আর সে জন্যয়ই বাঙ্গালী জাতিরও নাম পরিবর্তন করে অন্য কোন জাতি রাখতে হবে ।