বিএনপির আরেক নেতার পদ স্থগিত

বিএনপির আরেক নেতার পদ স্থগিত

সিলেটে ৫ আগস্টের পর অপকর্মে জড়িয়ে পড়া বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছে কেন্দ্রীয় বিএনপি। যদিও অভিযুক্ত অনেকের বিরুদ্ধেই এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সর্বশেষ গত ১৪ অক্টোবর সরকারি সম্পদ লুটপাটে জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলামের পদ স্থগিত করেছে কেন্দ্রীয় বিএনপি। এসব লুটপাটের হোতাদের চিহ্নিত করে গত ২৬ সেপ্টেম্বর দৈনিক যুগান্তর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরই সিলেটের সীমান্তবর্তী দুই উপজেলা কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাটে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের চিহ্নিত কিছু নেতাকর্মী। জাফলং ও ভোলাগঞ্জ থেকে প্রায় দেড়শ কোটি টাকার সরকারি সম্পদ পাথর ও বালু লুটপাট, ভোলাগঞ্জ নির্মাণাধীন স্থল বন্দর থেকে প্রায় ৭ কোটি টাকার মালামাল লুট, নির্মাণাধীন পর্যটন কেন্দ্রে লুটপাট, সাদাপাথর রিসোর্টে লুটপাট, পুলিশ ফাঁড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া, তামাবিলে কাস্টমস গুদামে থাকা ৬ কোটি টাকার পণ্য লুট, গোয়াইনঘাটে জেলা পরিষদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা সুবাস দাসের বাড়িতে হামলা লুটপাট ও আওয়ামী লীগ নেতা ইমরান হোসেন সুমনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘরে লুটপাট চালিয়ে আগুন দেওয়াসহ নানা অপরাধ সংঘটিত হয়।

এসব অপরাধের জন্য স্থানীয়রা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শাহাবুদ্দিন (যিনি গত ১৭ বছরে কোনো রাজনৈতিক মামলার আসামি হননি), উপজেলা যুবদলের আহবায়ক সাজ্জাদুর রহমান দুদু, গোয়াইনঘাট উপজেলায় লুটপাটের জন্য যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শাহপরান, বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ আলম স্বপন, জাফলং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমজাদ বক্স অন্যতম।

এসব লুটপাটকারীদের মধ্যে গত ১৪ অক্টোবর বিএনপির সিনিয়ির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে শুধুমাত্র রফিকুল ইসলাম শাহপরানের দলীয় পদ স্থগিত করে চিঠি দেওয়া হয়।


চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, শাহপরানের বিরুদ্ধে সরকারি সম্পদ পাথর ও বালু অবৈধভাবে উত্তোলনের সুষ্পষ্ট অভিযোগ থাকায় দলীয় শৃঙ্খলা এবং নীতি আদর্শ পরিপন্থি কর্মকাণ্ডের জন্য সব দলীয় পদ স্থগিত রাখার নির্দেশনা দেওয়া হলো। বাকি নেতাদের বিষয়ে এখনো কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।

যদিও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমেদ চৌধুরী যুগান্তরকে জানান, বাকিদের বিষয়েও তদন্ত চলছে।

জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী যুগান্তরকে জানান, গণমাধ্যমে যাদের বিরুদ্ধে এমন অপকর্মের তথ্য পাওয়া গেছে তাদের সবার নামই তারা কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপকর্মকারীদের বিএনপিতে স্থান হবে না।