কারাগার জীবন কেমন ছিল, প্রথমবার মুখ খুললেন মির্জা ফখরুল

কারাগার জীবন কেমন ছিল, তা নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বলেন, জেলখানা কষ্টের জায়গা। বারবার রিমান্ডে নিয়ে মানসিক নির্যাতন চালানো হয়। বিএনপির এই শীর্ষ নেতা আরও বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে স্বাধীন থাকবে বিচার বিভাগ। রাজনীতির সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পৃক্ততা থাকলেও ২০১২ সালের আগে আদালতের চৌকাঠ পেরুতে হয়নি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে। তবে ২০১২ সালের পরবর্তী ১২ বছরে ১১২টি মামলার আসামি হতে হয়েছে তাকে।
এমনও হয়েছে ময়লার গাড়ি ভাঙচুরের মামলাও হয়েছে ৭৬ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে। শেষবার গত বছর যখন গ্রেপ্তার হলেন তখন পুলিশ পরিবেষ্টিত মির্জা ফখরুলের হাসি সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার জন্ম দেয়। নানা মামলায় মির্জা ফখরুল কারাগারে গেছেন ১০ বারের মতো। খুব একটা কথা বলেননি তার কারাজীবন নিয়ে। তবে চ্যানেল 24 এর সঙ্গে কথা বলার সময় বললেন, স্মৃতিচারণ করলেন সেসব সময়ের। মির্জা ফখরুল বলেন, কারাগারে ফ্লোরে বিছানা, পাশে টয়লেট তবে অর্ধেক দেয়াল। আমাদের জন্য এটি খুব অপরিচিত পরিবেশ। খাবারের কথা কিছু বলাই যবে না। আমি দুই দিন কিছু খেতে পারিনি।
এরপর আমার স্ত্রী যখন রিট করবে যে কেনো সেখানে নেয়া হয়েছে তখন তারা সেখান থেকে আমাদের সরিয়ে নিয়েছে। কিন্তু নেয়ার সময় শত শত মানুষ প্রচুর স্লোগান দিচ্ছিল। এরপর দাঙ্গা পুলিশ আনা হলো। পরে আমাকে সেখান থেকে বের করা হলো। এটা আমার জন্য খুব বেদনাদায়ক, কষ্টকর। জেলখানাইতো একটি বেদনার জায়গা। রিমান্ডে নির্যাতন করা হতো কি-না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, শারীরিক নয় তবে মানসিক নির্যাতন চলতো। বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, আমাদের তো রিমান্ডে কখনই শারীরিক নির্যাতন করা হতো না।
কিন্তু মানসিক নির্যাতন হতো। এটা হচ্ছে- আমাকে থাকার জন্য রাতে যেখানে রাখা হতো তার পাশেই তাদের টর্চারসেল ছিল। ওখানে হয়তো কাউকে টর্চার করা হচ্ছে, চিৎকার হচ্ছে। বিচার ব্যবস্থা নিয়ে বিএনপি মহাসচিবের মত, বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা করা খুব জরুরি।