বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মনির সাথে যুবলীগ নেতার সাক্ষাৎ

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মনির সাথে যুবলীগ নেতার সাক্ষাৎ

গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে দলীয়ভাবে কঠোর অবস্থান নেওয়া হলেও বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা তাদের সঙ্গে ‘সমঝোতা’ করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।

এ ছাড়া বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধেও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতাকর্মীরা। 

 বিএনপি নেতাকর্মীরা বলছেন, গত ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিএনপিতে আশ্রয় নিতে পারে—এমন আশঙ্কায় দলে যোগদান বন্ধের নোটিশ জারি করে বিএনপি।

স্থানীয় বিএনপি ও যুবদলের একাধিক নেতা অভিযোগ করে বলেন, আজ ২৪ আগস্ট বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এবং সাবেক সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম মনি বর্তমানে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনীত হওয়ায় স্থানীয় নেতাকর্মীরা তার ঢাকার বাসভবনে দেখা করতে যান ।এসময় তাদের সাথে ঢাকা যুবলীগের এক নেতাকে দেখতে পান তারা।খোজ নিয়ে জানা যায় ওই যুবলীগ নেতার নাম মাসুম বিশ্বাস ।মাসুম বিশ্বাস ঢাকার এবং তার আপন ছোট ভাই ইমরান বিশ্বাস বিবিচিনি ইউনিয়নের যুবলীগের নেতা ।

বেতাগীর তৃণমূলের কয়েকজন নেতা অভিযোগ করে বলেন,মাসুম বিশ্বাস ও তার ভাই ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতার সময় বিবিচিনি ইউনিয়নের বিএনপির অনেক নেতাকর্মীর উপরে অত্যাচার,গুম, খুনের মত মানবতা বিরোধী অপরাধের সাথে জড়িত ছিলো।এছারাও মাসুম বিশ্বাস ও তার ভাই ইমরান বিশ্বাস ২0১৮ সালের নির্বাচনের সময় বিএনপির কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়ে বিএনপির কর্মীদের গ্রেফতার করাতোও বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

নেতারা আরো বলেন, বিভিন্ন জায়গায় বিএনপির কিছু নেতা আওয়ামী লীগের লোকজনকে দলে ভেড়ানোর চেষ্টা এবং তাদের দিয়ে দলের ত্যাগী, পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের দূরে সরানোর পায়তারা করছে।

 এ বিষয়ে আমরা সাবেক সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম মনির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন।আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে আমি জনাব তারেক রহমান এর নির্দেশনা মেনে কাজ করছি এবং ভবিষ্যতেও করে যাবো।কোন অনুপ্রবেশকারীদের বিএনপিতে যায়গা দেওয়া হবেনা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, ‘৫ আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও তার সরকারের পতনের পর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নামে বিভিন্ন স্থানে দখল ও চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। মূলত একটি চক্রান্তকারী গোষ্ঠী দলের নাম ভাঙিয়ে বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে।