শেখ হাসিনার লাল পাসপোর্ট বাতিল। ভয়াবহ বিপদ 

শেখ হাসিনার লাল পাসপোর্ট বাতিল। ভয়াবহ বিপদ 

বিদায়ী সরকারের মন্ত্রী-এমপি ও অব্যাহতি বা বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো কর্মকর্তাদের জন্য বরাদ্দকৃত কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র মানবজমিনকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। সূত্র জানায়, বিদায়ী সরকারের মন্ত্রী-এমপি, পরিবারের সদস্য এবং তাদের অনুগত যেসব কর্মকর্তাকে ইতিমধ্যে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে বা বরখাস্ত করা হয়েছে তাদের জন্য বরাদ্দকৃত কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ সংক্রান্ত নির্দেশনা

গতকালই মৌখিকভাবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। তিনিও এই লাল পাসপোর্টে সেখানে অবস্থান করছেন। এই পাসপোর্ট বাতিল হওয়ার পর তিনি এখন নতুন জটিলতায় পড়তে পারেন। 

নির্দেশনায় বলা হয়, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, প্রাক্তন মন্ত্রিসভার সদস্য, সদ্য বিলুপ্ত জাতীয় সংসদের সকল সদস্য, বাতিলকৃত চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ব্যক্তিবর্গ ও বাধ্যতামূলক অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং স্পাউজগণের মধ্যে যারা কূটনৈতিক পাসপোর্ট গ্রহণ করেছেন, তাদের কূটনৈতিক পাসপোর্ট অবিলম্বে বাতিল করা হবে। 

উল্লিখিত ব্যক্তিদের মধ্যে যারা সাধারণ পাসপোর্টের জন্য আবেদন করবেন, অন্তত দুটি তদন্ত সংস্থার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তাদের জন্য সাধারণ পাসপোর্ট ইস্যু করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। 

লাল পাসপোর্ট বাতিল হলে যেসব সাবেক মন্ত্রী-এমপি’র নামে ফৌজদারি অপরাধের মামলা আছে বা গ্রেপ্তার হয়েছেন তাদের সাধারণ পাসপোর্ট পেতে আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে যেতে হবে। সে ক্ষেত্রে আদালতের আদেশ পেলেই কেবল মিলবে সাধারণ পাসপোর্ট। ভারতে আশ্রয় নেয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী হাসিনা কূটনৈতিক পাসপোর্ট বা লাল পাসপোর্টধারী ছিলেন।

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ২০১৮ সালের ১৫ই জুলাই স্বাক্ষরিত সমঝোতা অনুযায়ী, সেই পাসপোর্টের সুবাদে তিনি অন্তত দেড় মাস কোনো ভিসা ছাড়াই অনায়াসে ভারতে অবস্থান করতে পারবেন। এ অবস্থায় ওই পাসপোর্ট বাতিল হওয়ার পর তিনি কীভাবে অবস্থান করবেন সেই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। 

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (নিরাপত্তা ও বহিরাগমন অনুবিভাগ) মো. আলী রেজা সিদ্দিকী মানবজমিনকে বলেন, বুধবার এ বিষয়ে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় যে সিদ্ধান্ত হয়েছে তা ইতিমধ্যে মৌখিকভাবে ডিজি পাসপোর্টকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। এটার অফিসিয়াল চিঠি পাসপোর্ট অফিস বরাবর হয়তো বৃহস্পতিবার দিতে পারবো।