কনটেন্ট ক্রিয়েটর ঈসমাইল কারাগারে

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর ঈসমাইল হোসেনকে ধর্ষণ মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বুধবার (১০ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তনয় সাহা তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ভুক্তভোগী কিশোরীকে (১৬) ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত কনটেন্ট ক্রিয়েটর ঈসমাইল হোসেন হালুয়াঘাট উপজেলার কালিয়ানীকান্দা গ্রামের বাসিন্দা সুরুজ আলীর ছেলে। তার স্ত্রীসহ দুই সন্তান রয়েছে। উপজেলার খন্দকপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ভুক্তভোগী কিশোরীর মা ওই অভিযোগ দায়ের করেছেন। মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানায়, ভুক্তভোগী কিশোরীর মা মানুষের বাসাবাড়িতে কাজ করে সংসার চালাতেন। কিশোরী নিজ বাড়িতে কাজ করতো। ওই বাড়িতে প্রায়ই আসা-যাওয়া করতেন ঈসমাইল হোসেন। কিশোরীর মা বাড়িতে না থাকার সুবাদে বিয়ের প্রলোভনে তাকে ধর্ষণ করতেন ঈসমাইল। একপর্যায়ে বাসার কাজ করানোর জন্য মাসিক বেতনে তাকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান ঈসমাইল। সেখানেও বিয়ের প্রলোভনে ৫-৬ মাস তাকে ধর্ষণ করেন।
সবশেষ গত ৬ জুলাই রাতে ঈসমাইল আবারও ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ভুক্তভোগী কিশোরী ঈসমাইলকে বিয়ের কথা বলেন। বিয়েতে রাজি না হওয়ায় সে তার মাকে সব খুলে বলে। বিষয়টি নিয়ে ওই কিশোরীর মা আত্মীয়দের সঙ্গে কথা বলেন এবং মীমাংসার চেষ্টা করেন। কিন্তু সেখানে ঈসমাইলের পক্ষ থেকে বিয়ের কোনো আশ্বাস না পাওয়ায় মঙ্গলবার সকালে হালুয়াঘাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। ভুক্তভোগীর মায়ের অভিযোগে পুলিশ ঈসমাইলকে আটক করে। পরে ইসমাইল ভুক্তভোগীকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করলে পুলিশ বিয়ের কাগজপত্র ও উপযুক্ত প্রমাণ দেখাতে বলেন। কিন্তু ইসমাইল উপযুক্ত প্রমাণ দেখাতে না পারায় বুধবার তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয় বলে জানান হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুল হক। ঈসমাইলের ছোট ভাই কনটেন্ট ক্রিয়েটর এনামুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ঈসমাইলের সঙ্গে প্রায় ৬ মাস আগে ওই নারীর বিয়ে হয়েছিল।
পরে তাদের মধ্যে সাংসারিক ঝামেলার কারণে ওই নারীকে তালাক দেন ঈসমাইল। তালাকের কাগজ পাওয়ার পর ওই নারী তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেছেন।’ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন বলেন, ঈসমাইল হোসেনকে থানা পুলিশ আদালতে পাঠানোর পর বিজ্ঞ বিচারক তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।