শিশু ধর্ষণে মৃত্যুদণ্ড, বিয়ের আশ্বাসে যৌন সম্পর্কে ১০ বছরের সাজা

ব্রিটিশ আমলের আইন সংশোধন করে ১ জুলাই থেকে ভারতে কার্যকর হয়েছে নতুন তিনটি অপরাধমূলক আইন। টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পরপরই আইনগুলো বলবৎ করলো নরেন্দ্র মোদীর সরকার। এসব আইনের কিছু ধারা নিয়ে বিরোধী দল এবং আইনজ্ঞদের তীব্র আপত্তি থাকলেও তাকে কর্ণপাত করেনি ক্ষমতাসীনরা। এ নিয়ে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে বিতর্কের ঝড়।
কী রয়েছে নতুন আইনে
এই আইনে নতুন অপরাধ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধিতে হত্যা, আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া, আক্রমণ, গুরুতর আঘাত করার মতো অপরাধগুলোর জন্য যে বিধান ছিল, তা বজায় রাখার পাশাপাশি সংগঠিত অপরাধ, সন্ত্রাসবাদ, গণহত্যার মতো অপরাধ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে নতুন আইনে। ইউএপিএ’র মতো সন্ত্রাসবিরোধী আইনও এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
১ জুলাই থেকে দেশটির ৬৫০টিরও বেশি জেলা আদালত ও ১৬ হাজার থানাকে এই নিয়ম মেনে চলতে হবে। এখন থেকে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫৪ ধারার পরিবর্তে বিএনএসএসের ১৭৩ ধারায় আমলযোগ্য অপরাধের মামলা করা হবে।
কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় দেশদ্রোহের মতো অপরাধকে সরিয়ে রাখা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট তা স্থগিত রাখার কথা জানিয়েছিল।
তবে এর পরিবর্তে নতুন আইনে ভারতের সার্বভৌমত্ব, একতা এবং অখণ্ডতাকে বিপন্ন করার মতো অভিযোগকে অন্যভাবে অপরাধের তালিকায় শ্রেণিভুক্ত করা হয়েছে। সাজার কথাও বলা রয়েছে।
সন্ত্রাসবাদী কাজ, যা আগে আন-লফুল অ্যাকটিভিটিস (প্রিভেনশন) অ্যাক্টের মতো বিশেষ আইনের অংশ ছিল, তা এখন ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
নতুন আইনে ১৮ বছরের কমবয়সী অর্থাৎ নাবালিকার ধর্ষণে মৃত্যুদণ্ড থেকে আজীবন কারাদণ্ড পর্যন্ত সাজার কথা বলা হয়েছে। গণধর্ষণের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ২০ বছর থেকে আজীবন কারাবাসের সাজা হতে পারে।